Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল

ঢাকা : চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসার সময় চোখ হারানো ১৭ জনকে ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রয়েছে।

আইরিশ কোম্পানি এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার  আপিল বিভাগ `নো অর্ডার` আদেশ দিয়েছেন। ফলে আইরিশ কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ রোগীকে পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে হবে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির (আইরিশ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

গত ২১ অক্টোবর ১৭ জনকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আইরিশ কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশের পর আইরিশ কোম্পানি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক ১৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেন।

হাইকোর্টের রায়ের পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেন, রায়ে ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া এ বিষয়ে প্রত্যেকের সারা জীবনের চিকিৎসার ব্যয়ভার ইমপ্যাক্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের হাসপাতালে অথবা ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে বহন করবে।

ওই ১৭ জনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধ সরবরাহ করেছিলি আইরিশ কোম্পানি। ওই ওষুধের কোনো রেজিস্ট্রেশন ছিল না। এজন্য আইরিশ কোম্পানিকেও পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দেশে মেডিকেল নেগলেজেন্সির বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত আইন নেই, পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। যে কমিটির প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি। ওই কমিটি ভবিষ্যতে মেডিকেল নেগলেজেন্সি ঘটলে সেটি দেখবে এবং ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer