রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রমনা নিউ মার্কেট-জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, নিহত চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করা হয়।
এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১, ফাস্ট লেনের ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ধানমন্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।
সিআইডির ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডটি রোববার মধ্যরাতের কোনো এক সময় সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সূত্র জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে ব্রুটালি কিলড করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়াতে পারেনি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের ইন্সপেক্টর শেখ রাসেল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে রক্ত ও পোড়ার ক্ষত আছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি হত্যাকাণ্ড।
ঘটনাস্থলে এসে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বলেন, চিকিৎসকের দুটি রুম সাবলেট দেওয়া আছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা, তার এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজান ৩ জনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।