ছবি : বহুমাত্রিক.কম
মৌলভীবাজার : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, এ সরকারের মেয়াদ আর মাত্র এক মাস আছে, তারপর আবার সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষে সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশের কল্যাণ হবে। সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চা হবে। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মাঝে চা জনগোষ্ঠী অনেকটা পিছিয়ে আছে। তাদের সংস্কৃতির বিকাশে আগামীতে চা শিল্পাঞ্চলে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও গ্রামে মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স্র প্রাঙ্গণে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ শিশু শিক্ষার মান উন্নয়নের করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীা সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। এসব নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বাংলাদেশকে ফুলের বাগানের মত বিকশিক করছে। বাংলাদেশ একটি ফুলের বাগান। এ বাগানে নানান বর্ণের রং ও সুগন্ধের ফুল ফুটে প্রকৃতির রুপ বর্ধনে বিকশিত করে। আর এ ফুলের বাগান সাজিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা উন্নয়নের রুপ মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বাগানের ফুল হচ্ছে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ।
বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সভাপতি পিডিসন প্রধানের সভাপতিত্বে শিক্ষক সাজ্জাদুল হক স্বপন ও বিলকিছ বেগমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান নুর। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযৃক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাক ড. সৌরভ সিকদার।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহাজালাল, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ড. কানিজ ফাতেমা, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তফাদার রিজুয়ানা ইয়াসমীন ও বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সহ-সভাপতি জিডিসন প্রধান সুছিয়াং। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজকদের অন্যতম ও বাংলাদেশ মনিপুরী আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমরজীৎ সিংহ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর আরও বলেন, এখানে মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ শিশুশিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে কিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ কাজগুলো তাঁর একার পক্ষে করা সম্ভবপর নয়। আপনারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরলে মন্ত্রী হিসাবে বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
সম্মিলনীর শুরুতেই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মণিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠী, সাওতাল সসম্প্রদায়ের শিল্পীদের স্থায়ী একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর পর উত্তরীয় পরিয়ে ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের।
বহুমাত্রিক.কম
