মহামারি করোনাভাইরাসে স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। এদিকে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। সে সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা অব্যাহত রেখেছেন গবেষণা। এমনই এক গবেষণাই পাওয়া গেল নতুন তথ্য। নতুন এই গবেষণা জানিয়েছে, যে যারা চশমা পরেন, তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালায় চীন। গবেষণার পর তারা জানিয়েছে যে যারা চশমা পরে থাকেন তাদের চশমাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও সুরক্ষাকবচের কাজ করে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে যেহেতু বেশকিছু মানুষের ওপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গেছে, তাই কখনোই একে চূড়ান্ত প্রমাণিত সিদ্ধান্ত বলা যায় না। চিনের জামা অপথামোলজি এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশে সুইজাউ জেংডু হাসপাতালে এই গবেষণাটি চালানো হয়।
সমীক্ষায় মোট ২৭৬ জন যোগ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কতজন চশমা পরেন, দিনে কতক্ষণ তারা চশমা পরে থাকেন এবং কেন তারা চশমা পরেন, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। দেখা যায় এদের মধ্যে ৩০ জন চশমা পরলেও কেবলমাত্র ১৬ জন দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। দেখা গিয়েছে চীনের হুবেই জেলায় ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। আর এই ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশ কম। মাঝে মাঝে চশমা পরেন বা মোটেও চশমা পরেন না, এমন জনসংখ্যার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার তুলনায় অনেকটাই বেশি।
মনে করা হচ্ছে, চোখে চশমা থাকলে মাঝে মাঝে চোখে হাত দেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। সেই কারণে চোখের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনাও কমে। তবে এই সমীক্ষা মাত্র ২৭৬ জন মানুষের ওপর করায় এই কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফেস মাস্ক এবং ফেসশিল্ডের সঙ্গে পিপিই কিটের মধ্যে সুরক্ষা গগলস গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। করোনা রোগীর সংস্পর্শ যেতে হলে চোখে চশমা বা আইশিল্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।