-সারাহ বেগম কবরী। ফাইল ছবি
করোনার কাছে হার মেনে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বাংলা সিনোমার কিংবদন্তি ও সাবেক সংসদ সদস্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।অভিনেত্রী কবরীর ছেলে শাকের চিশতী গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ এপ্রিল পরীক্ষায় কবরীর করোনা শনাক্ত হয়। সেদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ শয্যা খালি না থাকায় পরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। এরপর ‘বাহানা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘রংবাজ’, ‘সারেং বউ’, ‘সুজন সখী’সহ অসংখ্য কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন এই অভিনেত্রী। পরিচালক হিসেবে নির্মাণ করেছেন সিনেমা৷ দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় সিনেমা তৈরিতে হাত দিয়েছিলেন। ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামের ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ছিল ‘আয়না’। অভিনয় ও নির্মাণের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন কবরী। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা আত্মজীবনী ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী সারোয়ার৷ জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব ও কৈশোর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতে।। তার আসল নাম মিনা পাল৷ পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল৷ ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর৷