Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

চরম ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনা

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২১ জুন ২০২০

প্রিন্ট:

চরম ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনা

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চীনের সেনা মুখোমুখি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না-করার নীতি এত দিন মেনে চলেছে ভারত। কিন্তু লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরেই এই নীতি বদলের প্রয়োজন নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারত এ বার বদলে ফেলল ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’।

নতুন নিয়মে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও বারণ থাকবে না সেনাবাহিনীর উপরে।  ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার সায় দিয়েছে এই নীতিতে।

গালওয়ানে সংঘাতের পরে কেটে গেছে ছয়দিন। এখনও গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশ দখল করে বসে রয়েছে চীন সেনা। নিজেদের অবস্থান থেকে সরার কোনও লক্ষণও দেখায়নি তারা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতের কথা মাথায় রেখে গালওয়ানে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত।

পাশাপাশি লাদাখ অঞ্চলে কমব্যাট পেট্রল চালু করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। পাশাপাশি চীনা হামলার আশঙ্কায় সেনা মোতায়েন করা শুরু হয়েছে দারবুক-দৌলতবেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়ক নির্মাণের কাজে।

গত ক’দিনের মতোই আজও জম্মু-কাশ্মীরের আকাশে চক্কর কেটেছে একাধিক যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বিমান বাহিনী

সূত্রের মতে, মিরাজ, সুখোইয়ের মতো অত্যাধুনিক বিমানকে ইতিমধ্যেই ফরওয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। লেহ-র আকাশে উড়েছে অ্যাপাচে কপ্টার। আজ ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে চীনের বিমান এর মধ্যে ভারতীয় বায়ুসীমায় ঢোকেনি। যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ভারতীয় বিমান বাহিনী। নিহত জওয়ানদের আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেব না।’’

গালওয়ানের ঘটনার পরে ডিবিও সড়ক নির্মাণের কাজে পাহারা দেওয়ার জন্য আরও বেশি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নর্দার্ন কম্যান্ডের এক পদস্থ সেনা অফিসারের মতে, ওই রাস্তা তৈরি হলে কারাকোরাম পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনা। ওই এলাকা চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের খুব কাছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি রয়েছে চীনের। ওই সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য ফের হামলা চালাতে পারে তাদের সেনা। ২০১৩-য় ওই সড়ক সন্নিহিত দেসপাং এলাকায় চিনা সেনা ঢুকে তিন সপ্তাহ বসে ছিল।

ওই সড়ক প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। ওই সব এলাকায় এক বার চীনা সেনা ঢুকে পড়লে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সরানো কঠিন হয়ে পড়বে। আটকে যাবে সড়ক নির্মাণের কাজও। তাই ডিবিও সড়কের স্পর্শকাতর এলাকা জুড়ে সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছে।

সেনা সূত্রের মতে, বর্তমানে গালওয়ান উপত্যকায় অন্তত ২৩টি স্থানে নজরদারির জন্য কাঠামো গড়ে তুলেছে চীন সেনা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, গালওয়ান উপত্যকা কাদের, তা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত। অতীতে তাদের যে অবস্থান ছিল, সেটাই এখন চীন মানতে চাইছে না! ভারতের আশা, দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্তরে সীমান্ত প্রশ্নে যে ঐকমত্যে পৌঁছনো হয়েছিল, তা আগামী দিনে মেনে চলবে বেইজিং।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer