প্রতীকী ছবি
গাজীপুর: গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশ একটি ধর্ষণ মামলার আসামীকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার মোঃ আসাদুল ইসলাম (২৫) জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া এলাকার মোঃ হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। গত ১০ মার্চ এক গার্মেন্টস কর্মী (২১) তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেপ্তার মোঃ আসাদুল ইসলামকে সোমবার আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, তিনি জেলার ভবানীপুর মেম্বারবাড়ী এলাকায় ভাড়াবাসায় থেকে নিকটস্থ একটি গার্মেন্ট-এ সহকারী অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। অভিযুক্ত মোঃ আসাদুল ইসলাম তার ডিভোর্সপ্রাপ্ত স্বামী। ডিভোর্স দেওয়ার পরও আসাদুল তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো এবং এসিড নিক্ষেপ করে চেহারা কাউকে না দেখাতে পারার মত করে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখাতো। এছাড়া অফিস যাওয়া আসার পথে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার হুমকী দিয়ে আসছিল।
গত ৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে অফিস ছুটির পর বানিয়ারচালা কাঁচা রাস্তায় পৌঁছলে হঠাৎ অভিযুক্ত আসাদুল পথ রোধ করে ছিপি আটকানো একটি কাঁচের বোতল দেখিয়ে বলে, তার সাথে যেখানে নিতে চায় সেখানে চুপচাপ না গেলে এসিড মেরে চেহারা একেবারে নষ্ট করে দিবে। নিরুপায় হয়ে সে আসাদুলের কথামত একটি ছোট গাড়িতে উঠে। গাড়িতে উঠার পর আসাদুল তার চোখ একটি কাপড় দিয়ে বেধে একঘন্টার মত যাওয়ার পর একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। ওই ঘরে আটকে রেখে আসাদুল ওই গার্মেন্টসকর্মীকে রাতদিন যখন তখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও অমানুষিক যৌন নির্যাতন করে।
পরে গত ৯ মার্চ ভোর রাতে ধর্ষণ ও অমানুষিক যৌন নির্যাতন করার পর ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেয়ার সময় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে বা মামলা-মোকদ্দমা করলে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকী দেয়। নির্যাতিতা জানান, অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তিনি গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে গাইনী বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
১০ মার্চ খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার এসআই রিপন কুমার দাস হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে সব তথ্য নিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা নেয়ার ব্যবস্থা করেন। এসআই রিপন কুমার দাস জানান, অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামী মোঃ আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম