ছবি- বহুমাত্রিক.কম
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কলরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে গাজীপুরের একটি বদ্ধভূমি এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি গাজীপুর এর আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মহানগরীর রাজবাড়ী পানির ট্যাংকী এলাকায় গণহত্যার স্থানে জেলা জজকোর্ট এর ভবন নির্মিত হওয়ায় এর অদূরে একটি মজা পুকুর পাড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। শুক্রবার একই স্থানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল কালাম, জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, সদর মেট্রো থানার ওসি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার বদ্ধভূমিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও সেখানে মনুমেন্ট তৈরির পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল কালাম এ প্রস্তাবকে সমর্থন জানান এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এ কর্মসূচীতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাহিদ হোসেন সোহেল, সৈয়দ মোকছেদুল আলম (লিটন) জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রাপ্ত নৃত্য প্রশিক্ষক (সাধারণ) সংগীতা রোজারিও ও নৃত্য প্রশিক্ষক (উচ্চাঙ্গ) আশরাফী ফরিদ, চারুকলা প্রশিক্ষক ভবতোষ দাস, তবলা প্রশিক্ষক সুভাষ রায়, নাট্য প্রশিক্ষক খন্দকার রফিক ও সংগীত প্রশিক্ষক মণি উপস্থিত ছিলেন। সুরুজ খানের সঞ্চালনায় পরিচালিত অনুষ্ঠানের শুরুতে আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী সিফাত বন্যা।
এদিকে গাজীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একই কর্মসূচী পালন করে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীবৃন্দ। এতে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, সেলিম উল্লাহ সরকার, মিজানুর রহমান মজনু প্রমুখ। সংহতি প্রকাশ করে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাহিদ হোসেন সোহেল, গবেষক, কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ মোকছেদুল আলম (লিটন), কবি সৈয়দা নাজমা বেগম, বাচিক শিল্পী ইসরাত কাকলী প্রমুখ।
বহুমাত্রিক.কম