বিশ্বের নিম্ন আয়ের (গরিব রাষ্ট্রে ) ৪৫টি দেশে পেটেন্ট করা ওষুধ বিক্রি করে আর মুনাফা না করার কথা জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা ফাইজার।
বুধবার বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ফাইজার বলেছে, এ পরিকল্পনায় ২৩টি পেটেন্ট করা ওষুধ এবং ভ্যাকসিন রয়েছে। এগুলো সংক্রামক ও বিরল প্রদাহজনিত রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের চিকিংসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া নতুন ওষুধ এবং ভ্যাকসিনও উৎপাদন খরচের দামে বিক্রি করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি থেকে মুনাফা করার জন্য সংস্থাটি সমালোচিত হয়েছিল।
এদিকে অন্যান্য কোম্পানি, যেমন ব্রিটিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মার্কিন মালিকানাধীন জনসন অ্যান্ড জনসন মহামারি চলাকালীন তাদের করোনভাইরাস ভ্যাকসিনগুলোর উৎপাদন খরচের মূল্যে বিক্রি করেছে।
মহামারি করোনা কোম্পানিটির জন্য বেশ লাভজনক হয়ে ওঠে। কেননা গত বছর তাদের আয় দ্বিগুণ হয়ে ৮১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জার্মানির বায়োটেক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে তৈরি করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং ভাইরাসের চিকিংসার মুখে খাওয়ার ওষুধ বিক্রি করে কোম্পানিটি আংশিকভাবে এ বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
ফাইজার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।এ পদক্ষেপটি এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষকে উপকৃত করবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ফাইজার বায়োফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপের গ্রুপপ্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা হাওয়াং বলেন, আমরা জানি যে, দেশগুলোকে আমাদের ওষুধ পেতে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হবে। এ জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দেশকে বাছাই করেছি। এরপর একটি সমাধানে আসার পর অন্যান্য দেশেও সেটি প্রয়োগ করা হবে।
বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি বিল গেটস বলেছেন, আমি আশা করি অন্যান্য সংস্থাগুলো তাদের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করবে। আমরা ফাইজারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত এবং আমরা এ ধরনের উদ্যোগ সম্পর্কে সমগ্র ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সঙ্গে কথা বলছি।