ঘুমের ঘোরে ছোট্ট খোকা -
আগলে ধরে মায়ের ছেঁড়া সেই আঁচল,
যে আঁচলে একাত্তরের নির্মমতার নিষ্ঠুরতা,
পিশাচদলের উন্মাদনায় মৃত্যুশোকের ঘ্রাণ।
ফুলের রেণুর গন্ধমাখা, মাতৃস্নেহ যায় না ঢাকা,
স্বপ্ন বুনার আকাশ কোণে, জীবন গড়ার কল্পলোকে
ভাঙায় না ঘুম উদ্দীপনা।
মায়ের মুখের অভয় হাসির রঙধনু আর হয় না উদয়,
সাতরঙা ঘোর হায় উদাসীন একা।
একাত্তরের রক্তমাখা কাপড়খানার বিভিষিকা
রক্ত ঝরায় খোকার বুকে,
খুনের বদল হয় না খুনে,
সারাজীবন খুন হয়েছে প্রতিক্ষণই এই খোকা।
দায় হয়েছে বেঁচে থাকা মায়ের মৃত্যু যন্ত্রণায়
ফাঁসির মঞ্চ মাথায় বয়ে ফাঁস হয়েছে লাঞ্ছনায়,
মৃত্যু চায় না অপরাধীর, না পায় যেন চিরক্ষমা।
মাগো তোমার খোকার চোখে সেদিনের সেই শেষ আকুতি,
বেঁচে থাকার একটু আশা, ঠিকরে পড়া চোখের ভেতর Ñ
তোমার খোকার ভবিষ্যত; অন্ধকারে নিভে যাবে
সব আলোদের দীপ্ততা; এই যাতনায় ছটফটিয়ে
প্রাণ দিলে মা; কেমন করে ভুলে যাবে তোমার খোকা Ñ
সেদিনগুলোর দুঃখগাথা, তোমার করুণ মুখখানা।
উত্তর ছায়াবিথী, জয়দেবপুর, গাজীপুর।
২৮ মে ২০১৬ খ্রি:
বহুমাত্রিক.কম