খুলনা : খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মিলে দফায় দফায় বৈঠক করে বিভাগের ৩৫ টি আসনে ভোট ডাকাতির ছক একেছেন বলে খুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রেস ব্রিফিং থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা বলে ঐক্যফ্রন্ট যে অভিযোগ করেছিল সারা দেশে ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন থেকে তার প্রমাণ মিলেছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় বিএনপি খুলনা নগর কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসন থেকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ কথা বলেন। তিনি বলেন কুলনা-২ আসন থেকে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাই।
আর খুলনা-৩ আসনের প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী বোনের মতো স্নেহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাই-বোনকে নির্বাচনে জেতানোকে বাধ্যবাধকতা মনে করে প্রশাসন প্রস্ততি নিচ্ছে। তিনি প্রশাসনকে হুশিয়ার করে বলেন, ভাই-বোনকে জেতানোর জন্য এমন কোন কাজ করবেন না যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং পরিস্থিতি বেসামাল করে তুলবে। সাত মাস আগে হয়ে যাওয়া ভোট ডাকাতির মেয়র নির্বাচনের মতো আর কোন ভোট খুলনাবাসী মেনে নেবেনা।
এ সময় তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ধানের শীষের কর্মীদের ওপর সকল ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে। কারাগারে আটক সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। যে সমস্ত গায়েবী মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে, অবিলম্বে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের তৎপরতা বাড়াতে হবে। অবিলম্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ দিয়ে বর্তমান নাজুক দানবীয় পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের নানা মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা যা বলেন তা তাদের বক্তব্য নয়। সেটা সরকারের বক্তব্য। ঐক্যফ্রন্ট বিধিবদ্ধ সাংবিধানিক আইন ছাড়া কোন আওয়ামী আইন মানতে বাধ্য নয়।
খুলনা-২ ও ৩ আসনে গত কয়েকদিনে নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অসংখ্য বিবরন তুলে ধরে বলা হয়, আজকের পর আর যদি একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় তবে নির্বাচনী প্রচারনা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন গায়েবী মামলায় মাত্র দেড় মাসের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে ধানের শীষের কর্মীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভোটের দিন প্রার্থীর পাশে কোন কর্মী পাওয়া যাবেনা বলে মনে করেন তারা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঐক্যফ্রন্ট সভাপতি অ্যাড. আ ফ ম মহসিন, বিজেপির সভাপতি অ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, জেএসডির অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, জেপির সভাপতি মোস্তফা কামাল, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের অ্যাড. আখতার জাহান রুকু, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. এস আর ফারুক, শাহজালাল বাবলু, কাজী মোঃ রাশেদ, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, একরামুল হক হেলাল, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন প্রমুখ
বহুমাত্রিক.কম