ছবি : বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছর এই মাসটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করে বাঙালি জাতি। মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে তাই আনুষ্ঠানিভাবে শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সব শ্রেণি- পেশার মানুষ।
আর এ উপলক্ষে এ বছরও নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে প্রতিষ্ঠিত শহীদ মিনারকে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ধোঁয়া মোছার কাজ। পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা জনসাধারণের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। শুধু মহীদ হাদিস পার্ক নয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকাতেও চলছে ভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতি।
সোমবার বিকেলে নগরীর শহীদ হাদিস পর্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধোয়া-মোছার কাজ । এরপর সেখানে আল্পনা তৈরী করা হবে। খুলনা- সাতক্ষীরা সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এই সড়কের সংযোগ স্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পর্যন্ত করা হয়ে থাকে আল্পনার কাজ।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসা সর্বধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য শহীদ মিনার এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সোমবার বিকেলে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে কেএমপির নিরপপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খূলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন,‘ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালনে নিরপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ভাষা দিবস উপলক্ষে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে মাসব্যাপি বইমেলা ও এখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে কোনও সমস্যা হবে না।’ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে খুলনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আনিচুর রহমান বলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলার নয়টি থানার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠণের পক্ষ থেকে নানা কমৃসূচিী পালন হয়ে আসছে। সেসব দিক বিবেচনায় রেখে জেলা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তআ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে সেব্যাপারে পুলিশ যথেষ্ঠ সতর্ক থাকবে।
বহুমাত্রিক.কম