Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুলনা সদর : আলোচনায় শেখ জুয়েল; বিএনপিতে মঞ্জু

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

খুলনা সদর : আলোচনায় শেখ জুয়েল; বিএনপিতে মঞ্জু

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

খুলনা : খুলনা- ২ আসনটি মূলতঃ সদর আসন বলে চিহ্নিত। এই আসনটি খুলনা সদর থানা, সোনাডাঙ্গা থানা এবং নবগঠিত লবনচরা থানার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। শুধু খুলনা জেলারই নয়, বিভাগীয় পর্যায়ের অধিক গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছিল; তারপর দলটি জয় পায় ২০১৪ সালে। মুসলিম লীগ প্রভাবিত খুলনার এই আসনটি আওয়ামী লীগ বিরোধীরাই জয়লাভ করেছে।

বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। এর আগে ২০০৮ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কাছে পরাজিত হন তিনি।

গত ১৫ মে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার অব্দুল খালেক জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা অনেক বেশী উজ্জীবিত। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামী লীগ নিজেদের দখলে রাখতে চায়। বিএনপিও চায় তাদের ‘দুর্গ’ পুনরুদ্ধার করে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে।

আগামী নির্বাচনে খুলনা- ২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান-ই এগিয়ে আছেন। ইতোপূর্বে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল দলে নবাগত হিসেবে সাবেক কৃতি ফুটবলার বিশিষ্ট শিল্পপতি সালাম মুর্শেদী খুলনা- ২ আসনে প্রার্থী হবেন। কিন্তু খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। উপ-নির্বাচনে সালাম মুর্শেদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আসছে নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

খুলনা-২ আসনের বর্তমান এমপি মিজানুর রহমান মিজান সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেক জোরদার করেছেন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে প্রার্থী হিসেবে আরও অনেকের নাম শোণা যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এবং আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক। আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা শেখ জুয়েলকে এ আসনে প্রার্থী হিসেবে পেতে চান। বিগত সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে শেখ জুয়েলের নাম ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।

তবে অন্য একটি সূত্রমতে, শেষ মুহূর্তে বিএনপি নেতা আলি আসগর লবি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিএনপি খুলনার রাজনীতিতে মঞ্জু বিরোধী বলে পরিচিত আলি আসগর লবি ২০০৭ সাল থেকেই খুলনার রাজনীতিতে দৃশ্যমান নেই। বেশীরভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে তিনি এখনও যোগ দেননি।

খুলনা-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলের মহানর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মনোনয়ন এখন পর্যন্ত অনেকটাই নিশ্চিত। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শত নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলার মধ্যে দুঃসময়ে সহকর্মীদের নিয়ে দলকে সংগঠিত করে রেখেছি। বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ভালবাসা ও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমার প্রতি। দল নির্বাচনে অংশ নিলে আমি মনোনয়ন চাইবো।’ সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে দলীয় হাই কমান্ড তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আরিফ বিল্লাহর নাম শোনা যাচ্ছে। জাসদ-এর প্রার্থী হিসেবে ১৪ দলের অন্যতম নেতা খালিদ হোসেনের নামে পোস্টারও দেখা গেছে। তবে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ওয়ার্কার্স পার্টি, বামজোট, খেলাফত মজলিস বা জেপি’র কোনো প্রার্থীর নাম শোনা বা প্রচার-প্রচারণা নেই।

খুলনা জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনের সদর থানায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮১০ জন। সোনাডাঙ্গা থানায় মোট ভোটার ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯ জন। মোট ভোটার ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯ জন।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer