ঢাকা : সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ কথা বলেন। তিনি আহ্বান জানান, সৌদি আরবেরও তা–ই করা উচিত।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ ও মাইক পম্পেওর ফোনালাপে ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়টিও উঠে আসে। এ দুটো ঘটনাতেই যুবরাজ মোহাম্মদের জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করা হয় সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। শুরুতে সৌদি আরব দাবি করেছিল, খাসোগি তাঁর কাজ শেষে কনস্যুলেট ভবন থেকে বেরিয়ে গেছেন।
তুরস্কের দাবি ছিল, সৌদি আরব থেকে আসা চরেররা কনস্যুলেট ভবনের ভেতরেই তাঁকে হত্যা করে। গত বছর দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে যাওয়া খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন। সেসব লেখায় তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের কড়া সমালোচনা করতেন। ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য তিনি যুবরাজকে দায়ী করতেন তাঁর লেখায়। বলা হয়, এ হত্যার পেছনে যুবরাজেরই হাত রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব কনস্যুলেট ভবনের ভেতর খাসোগি নিহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করলেও এর সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে। তুরস্কের সঙ্গে দেশটি ঘটনার যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ জন সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার ও দুজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে সৌদি আরব। সবশেষ খাসোগি হত্যার সাক্ষ্য–প্রমাণ হিসেবে যেসব অডিও রেকর্ড থাকার কথা দাবি করেছিল তুরস্ক, তা সৌদি আরবকে দিয়েছে দেশটি। তবে এখন পর্যন্ত এটা স্পষ্ট হয়নি, খাসোগিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর লাশেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।