ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিটের আদেশ মঙ্গলবার দেবেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন রাখেন।খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কথা বলেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যেসব মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে এসব মামলা আপিল করা হয়েছে। আপিল হওয়ার পর রায়ের সাজা কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ংভাবে স্থগিত হয়ে যায়। এ ছাড়া সরকারি দলের সাবেক দুই মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মায়া চৌধুরী বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তাঁরা আপিল করলে আপিল চলাকলীন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
পরে মন্ত্রী হয়ে পুরো সময় পার করেছেন। সুতরাং আপিল মূল মামলার অংশ। আপিল যতক্ষণ নিষ্পত্তি না হবে তখন আসামিকে দণ্ডিত বলে ধরা যাবে না। কেননা কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল করার পর তাঁর দণ্ড কার্যকর করার সুযোগ থাকে না। যতক্ষণ না আপিল নিষ্পত্তি হবে। সুতরাং খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবিধানের ৬৬ ধারা উদ্ধৃত করে আদালতকে বলেন, ‘দুই বছরের বেশি কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং খালেদা জিয়া দুটি মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।’
খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন।