Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১০ ১৪৩১, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ক্রেতার অপেক্ষায় রাজধানীর টাকা বিক্রেতারা

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ২৩ মে ২০২০

আপডেট: ১৮:১৭, ২৩ মে ২০২০

প্রিন্ট:

ক্রেতার অপেক্ষায় রাজধানীর টাকা বিক্রেতারা

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি। এ আনন্দে অনিবার্য অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামি হিসেবে ঝকঝকে নতুন নোট পেলে উচ্ছ্বসিত হয় সব বয়সের মানুষই। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সব কিছু বিলীন করে দিয়েছে। এবার নতুন নোট বিনিময়ের জন্য ব্যাংকগুলোতে ভিড় নেই।

ব্যাংকের বাহিরে অস্থায়ী নোট বিক্রেতারা খুঁজে পাচ্ছেন না সেলামিদাতাদের। ফলে মন্দা যাচ্ছে ব্যবসা।রাজধানীর মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে প্রতিবারের মত এবারও নতুন টাকার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। টুল নিয়ে বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে বিক্রি করছেন টাকা। আইন অনুযায়ী বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও বছরের পর বছর অবাধেই চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যবসা। তবে এখানে যারা ব্যবসা করেন তারা সবাই নিম্ন আয়ের লোক; নোট বিক্রির এ আয়েই চলে তাদের সংসার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সারা বছর নতুন পুরানো ব্যবসায়ীসহ নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন টাকার নোট বিক্রি করে থাকেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় নতুন টাকা সংগ্রহ করেন তারা। কিন্তু করোনার কারণে নতুন নোটের ব্যবসায়ী কমে গেছে। প্রতিবার ঈদে নতুন নোটের জমজমাট ব্যবসা হলেও এবার করোনার কারণে পুরাই খরা। রাস্তায় মানুষ কম। দুই একজন যাও আসছে আগেরও মত কেউ নতুন টাকা নিতে চাচ্ছে না। ফলে ব্যবসা খারাপ। এমন অবস্থা আগে কখনো হয়নি বলে জানান নতুন নোট বিক্রেতারা।

এদিকে সেনা কল্যাণ ভবন এর সামনে কয়েকজন নারী ও পুরুষ টুল নিয়ে বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে নতুন নোট বিক্রি করছেন। যেকোন গাড়ি এসে থামলে দৌঁড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন একাধিক টাকা বিক্রেতা। ক্রেতা পাওয়ার জন্য এক ধরণের প্রতিযোগিতা চলছে তাদের মধ্যে।

রাশিদা বেগম নামের এক নোট বিক্রেতা জানান, আগে ঈদের সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচা-কেনা চলতো। চাঁদ রাত পর্যন্ত বিক্রি করতাম। এবার একটা কাস্টমারও নেই। করোনার কারণে মানুষ নতুন টাকা নিতে চায় না। লোকই নাই। দুপুর হয়ে গেছে একটি বান্ডিলও বিক্রি করতে পারি নাই।

 

এদিকে করোনায় নতুন নোটের বিনিময় ও বিক্রি কম হলেও নগদ লেনদেনের জন্য ব্যাংকগুলোতে টাকার চাহিদা বেড়েছে। এবার ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে বাজার থেকে পুরাতন টাকা তুলে নিয়ে নতুন করে ৩০ হাজার কোটি নতুন টাকা সরবরাহ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে প্রথমে ২৫ হাজার কোটি টাকার নোট সরবারহ করার কথা ছিল। যা ইতিমধ্যে বাজারে সরবারহ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

-অর্থসূচক

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer