ঢাকা : অবসর না নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা । ১২ জানুয়ারি বোর্ড সভার পর সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি নিজেই নাকি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তার নাম না রাখার অনুরোধ করেছেন। আগামী মাসে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে না থাকলেও মাশরাফির বিদায়ের জন্য ৫০ ওভারের সিরিজ যোগ করার সম্ভাবনা প্রবল।
এতদিন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়াদের একজন ছিলেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি। বিশ্বকাপের পর অবসর নেওয়ার গুঞ্জন উঠলেও এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সাংসদ। যদিও আরও আগেই তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নিয়েছেন। টেস্টও খেলেন না বহুদিন। মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলতে এখন শুধুই তাই ওয়ানডে।
গত বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটে থেকে দূরে গিয়ে রাজনীতির মাঠে ছিলেন মাশরাফি। মাঝে বিসিবি সভাপতি তার জন্য বিদায়ী সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও তিন মাসের সময় নেন মাশরাফি। সেই সময়ও একদিন শেষ হয়। এরপর হুট করেই চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে মাঠে ফিরেন তিনি। ঢাকা প্লাটুন তাকে অধিনায়ক ঘোষণা করে। দল প্লে অফে উঠলেও গতকাল শনিবারের ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতের তালু ফেটে যায় মাশরাফির। ১৪টি সেলাই পড়েছে সেই হাতে। বিপিএল অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে ম্যাশের জন্য।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবার নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুলেন মাশরাফি। তিনি বলেছিলেন, `অবসরের কথা যেটা বললেন, আমার জায়গা থেকে বলতে পারি সবাই এরই মধ্যে আমাকে অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছে! আমি হয়তো শুধু খেলেই যাচ্ছি। আমি খেলাটা উপভোগ করছি। মাঠ থেকে অবসর নেব কি নেব না সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। নিজের যদি ওরকম মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে চিন্তা ভাবনা করব। খেলাটা আমি যখন শুরু করেছিলাম তখন জাতীয় দল লক্ষ্য করে খেলিনি। কেউই শুরুটা এভাবে করে না।`
জাতীয় দল থেকে ডাক পেলে রাজি হবেন কিনা- এ বিষয়ে মাশরাফির বক্তব্য, `এখন আমি কী করছি? খেলছিই তো! জিম্বাবুয়ে সিরিজে যখন আমাকে বলেছিল, তখন বলেছিলাম আমি খেলব। আমি খেলতে চাই, খেলাটা ভালোবাসি। এটা জরুরি না যে জাতীয় দলে খেলতে হবে। বোর্ড যদি খেলাতে চায় আমি অবশ্যই খেলব। যদি ওয়ানডে আসে, তারা মনে করেন আমার খেলা উচিত তাহলে অবশ্যই খেলব। যেখানেই যা কিছু করি ক্রিকেটই আমার কাছে সব। বাদ বাকি নির্বাচকদের ব্যাপার, বোর্ডের সিদ্ধান্ত।`