গাজীপুর : নির্বাচনের আগের দিন থেকে কেন্দ্র পাহারায় থাকতে হবে। ভোট কারচুপি বা কেন্দ্র দখলের মতো কোনো ঘটনা যাতে কেউ না ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশের পর কেন্দ্র ত্যাগ করে বাড়ি যেতে হবে। যত প্রকার অত্যাচার-নির্যাতন আসুক না কেন মাথা পেতে নিয়ে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর পূর্ব পাশে পথসভায় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-পিরুজালী-ভাওয়ালগড়-মির্জাপুর) প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচনী সভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব নির্দেশনা দেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের সভাপতিত্বে ও শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজত্রন্ত্রিক দলের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব, বিশেষ অতিথি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান মান্না , ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএিনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রাহমান, ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী খান, ডা: সফিকুল ইসলাম আকন্দ, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল্লাহ শহীদ প্রমূখ।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, আগামী ৩০ তারিখে আপনারা কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবেন। আপনাদের এক একটি ভোট খালেদা জিয়ার মুক্তির সনদ। আপনাদের ভোটে বিজয়ী হয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসব
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম, কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করবেন না। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের ভাই, আমাদের সন্তান, আমরা এ দেশের নাগরিক। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দল যারাই থাকুক না কেন তাদের উপর কোন অত্যাচার নির্যাতন করা হবে না। কর্মী সভা শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বহুমাত্রিক.কম