ছবি- বহুমাত্রিক.কম
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নিজ বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন করে সফল পৌর এলাকার শান্তা গ্রামের মহসীন আলী সরদার। কেঁচো সার উৎপাদনকারী মহসীন ২০১২ সালে ৩ টাকা পিচে ১৫ হাজার কেঁচো কিনে নিজ বাড়িতে এই কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন।
বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ৪ জন শ্রমিক তাকে সহায়তা করে এই সার উৎপাদনে। প্রতি মাসে ৩ টন গোবর থেকে ১১ টি হাউজে প্রায় ১ টন কেঁচো সার উৎপাদন করেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে প্যাকেটজাত করতে না পারলেও বাজারের বিভিন্ন কীটনাশক ও সারের দোকানে বস্তাভর্তি করে পাইকারি বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পেয়েছে ২টি প্রদর্শনী হাউজ।
কেঁচো সার উৎপাদনকারী মহসীন আলী সরদার বলেন, ‘সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পেলে প্যাকেটজাত করে বাজরে বিক্রির করা সম্ভব হবে। অন্যান্য রাসায়নিক সারের পাশাপাশি এই অর্গানিক সারটির বাজারে মুটামুটি ভাল চাহিদা আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাতে ভাল করা সম্ভব’।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারের সার বিক্রেতা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘মহসীনের কেঁচোর সার খুব ভাল এবং উন্নত মানের। অনান্য কেঁচো সারের তুলনায় বাজারে তার সারের চাহিদা বেশি। স্থানীয় ভাবে আরও এধরনের উদ্দোক্তা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি’।
কৃষক ও ফল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি আমার বাগানে তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করেছি। এতে আমার বাগানে ফলনও ভাল হয়েছে’। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ্য থেকে তার সার উৎপাদনের বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে তাকে বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার উৎপাদিত সারের মান ভাল। এছাড়াও জমিতে প্রতি শততে ৩ কেজি কেঁচোর সার প্রয়োগ করা হলে ফসলের জন্য তা খুবই উপকারী’।
বহুমাত্রিক.কম