ঢাকা : অনিয়ন্ত্রিত জীবন, অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে কিডনিতে পাথর জমার ঘটনা গেল কয়েক বছর ধরে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ যেসব কারণে কিডনিতে পাথর জমে সেগুলো একটু খেয়ালী হলেই এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু ঘরোয়া উপায়।
কিডনির কাজ হলো শরীরের বর্জ্য ছেঁকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়া। তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না করলে কিডনির পক্ষে সে কাজ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে সেসব বর্জ্য জমে পাথর জমার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান করলে কিডনিতে পাথর জমার শঙ্কা কমে।
লবণের সোডিয়াম কিডনি থেকে পাথর সরাতে পারে না। তাই সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমে। তাই খাবারের সঙ্গে খাওয়ার পরিমাণ কমালে এটি এড়ানো সম্ভব।
হজমের গোলমাল কিডনিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে, বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা তৈরি হয় ও পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই দিকটিতে নজর দিতে হবে।
ব্যথানাশক ওষুধের অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিডনিতে সমস্যা তৈরি করা। কাজেই ঘনঘন এমন ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলাতে হবে।
কিডনির অসুখের অন্যতম কারণ প্রস্রাব চেপে রাখা। এতে সংক্রমণ হওয়ার ভয়ও থাকে। তাই কখনোই প্রস্রাব চেপে রাখা উচিত নয়। প্রস্রাবের বেগ আসলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্রাব করা উচিত।