যে শিশুর বেড়ে উঠার কথা প্রকৃতির সাথে খেলা করে, কিন্ত তার এখন দিন কাটে কোন এক হাসপাতালের নির্জন কক্ষে একটি বেডে। চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রাঞ্জল বড়ুয়ার কথা বলছি। যার জন্য বাবা মা আজ পাগলপ্রায়। প্রানজলের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না যায় তা হলে এই ফুটফুটে ছেলেটা হয়ত পৃথিবীর বুকে আর বেশিদিন স্থায়ী হতে পারবেনা। কিন্তু অর্থাভাবে এগুচ্ছে না তার চিকিৎসা।
প্রিতিশোক বড়ুয়ার ছেলে বর্তমানে ১৪ বছর বয়সী প্রানজল বড়ুয়া গত প্রায় ১০ বছর যাবত জটিল কিডনি রোগ এলপোর্টস সিনড্রোমে (Alports Syndrome) ভুগছে। ছোটবেলা হতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দরুণ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও রোগটি সঠিকভাবে শনাক্ত না হওয়ায় এবং তার শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হওয়ায় উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতে গমন করেন। সেখানকার চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, ওনার দুরারোগ্য ব্যাধি Alports Syndrome এ আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার দু’টি কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।
অতিসত্ত্বর একটি কিডনি অপারেশন করা না হলে তার পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বর্তমানে প্রানজলের চিকিৎসায় ৩৫ লক্ষ টাকারও অধিক হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।শৈশব থেকে বিরুপ শারীরিক অবস্থার দরুণ তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে করতে আজ তার পরিবার নিঃস্ব। যার ফলে কিডনি অপারেশনের মত এত ব্যয় বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।