দেশে কারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি করে এ আদেশ দেন।
নিয়োগের পর আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদনও জমা দিতে বলেছেন আদালত। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেআর খান রবিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট জেআর খান রবিন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী জেআর খান রবিন জানান, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশে কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালগুলোতে কত চিকিৎসক প্রয়োজন তা জানাতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানান, কারাগারের হাসপাতালগুলোতে মোট ২৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যদিও হাসপাতাল অনুসারে চিকিৎসক প্রয়োজন ১৪১ জন। পরে বাকি ১১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর পরপর আরও চিকিৎসক নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগের পরে সেখানে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১২ জনে। কিন্তু এর মধ্যে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়।
চিকিৎসক নিয়োগের পর তা প্রত্যাহার করে নেয়ার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেআর খান রবিন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ১ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য মঙ্গলবার পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী অভিযোগ তোলেন, কারা হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক নেই। কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়ার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাহলে কারাবন্দিদের চিকিৎসার কী হবে? তখন আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।