কলকাতা থেকে প্রকাশিত হলো বাংলাদেশের তরুণ লেখক মেহেদী কাউসার ফরাজী`র কাব্যগ্রন্থ "কথা ছিলো অন্যরকম"। বইটি প্রকাশ করেছে কলকাতার স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা বইওয়ালা প্রকাশন এবং প্রচ্ছদ এঁকেছেন আগরতলার নান্দনিক চিত্রশিল্পী রিয়া সাহা।
গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকর্মা পূজার শুভদিনে কলকাতার ১৮ রবীন্দ্র সরণিস্থ পোদ্দার কোর্টে বইওয়ালা প্রকাশন আয়োজিত বইয়ের আড্ডার প্রধান অতিথি `সাহিত্য আকাদেমি` পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অমর মিত্রের উপস্থিতে বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাজেশ দাস।
এসময় বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট লেখক ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি ও অধ্যাপিকা মনীষা দাস, বইওয়ালা প্রকাশনের কর্ণধার সৌম্য মুখোপাধ্যায় -সহ পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
"কথা ছিলো অন্যরকম" কাব্যগ্রন্থে পৃথিবীর বুকে চলমান নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কবি যেমন বেখেয়ালে শব্দের আগুনে দারুণ বিদ্রোহ করেছেন, তেমনই যাযাবরী জীবনের ইতি টানতে কবির আরাধ্য নারীরূপকে জীবন্ত করেছেন কাল্পনিক মাধবীলতা চরিত্রের মাধ্যমে। চিন্তাশীল মানুষের জন্য অত্যন্ত নির্দয় এই পৃথিবীর নগর থেকে নগরে যাযাবরী জীবনের নানান ঘাত-প্রতিঘাতলব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে উপাদান সংগ্রহ করে ব্যক্তিমানসের আবেগ, অনুভূতি ও বিদ্রোহ -শব্দ ও ছন্দের অবয়বে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন প্রতিটি কবিতায়। জানা গেছে “কথা ছিলো অন্যরকম” কাব্যগ্রন্থটি ভারতের যেকোন রাজ্য থেকেই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে; এছাড়াও শীঘ্রই বাংলাদেশে পাওয়া যাবে।
প্রচলিত জাগতিক বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ থাকার চেয়ে মুক্ত মানবের জীবনে অভ্যস্ত মেহেদী কাউসার ফরাজী ইতিহাস ও সাহিত্যের প্রতি বিশেষভাবে অনুরক্ত। একইসঙ্গে নিজেকে ভৌগোলিক ও সাম্প্রদায়িক সীমারেখার ঊর্ধ্বে বিশ্বমানবের একজন হিসেবে পরিচয় দিতে ভালবাসেন।
মেহেদী কাউসার ফরাজী (এম কে ফরাজী) বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানকার পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীবপ্রযুক্তিতে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পড়ছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহের বিভিন্ন গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন চালু রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত গল্প, কবিতা ও নিবন্ধ লিখেন।