Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

করোনায় স্বস্তির বাণী দিল নাসা

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ২ মার্চ ২০২০

প্রিন্ট:

করোনায় স্বস্তির বাণী দিল নাসা

ঢাকা : সারা বিশ্ব যেখানে করোনাভাইরাসে দিশেহারা সেখানে নাসা বলছে বাতাসে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের মাত্রা কমেছে! কিছুটা হলেও মিলছে শুদ্ধ বাতাস।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির দাবি, করোনাভাইরাসের জেরে শিল্পোৎপাদন কমে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। বিশেষ করে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমেছে বেশ খানিকটা। ফলে `শুদ্ধ` হচ্ছে বাতাস।

এখন চীনের বাতাস কতটা ভালো, সেটা দেখাতে ২০১৯ সালের প্রথম দু’মাসের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

তারা বলছেন, বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড কমার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় উহান থেকে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের অভিকেন্দ্র ধরা হয় চীনের এই প্রদেশকে। পরে চীন জুড়েই নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমতে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে বাতাসের মান নিয়ে গবেষণা করেন ফেই লুই।

নাসার বিজ্ঞপ্তিতে তিনি লিখেছেন, ‘একটি নির্দিষ্ট ঘটনার জেরে এতটা জায়গা জুড়ে দূষণ কমতে আগে কখনও দেখা যায়নি।’ তিনি নিজেই ২০০৮ সালের মন্দার সময়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন। কিন্তু তখনও এত দ্রুত দূষণ সূচকে এই পরিমাণ পরিবর্তন দেখা যায়নি। আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন ফেই লুই।

তার পর্যবেক্ষণ, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চীনের নববর্ষ উৎসবের সময় দূষণ কিছুটা কমে। কিন্তু উৎসব শেষ হতেই আবার বেড়ে যায়। এ বার সেই প্রবণতাতেও ছেদ।

মূলত কারখানা এবং গাড়ি থেকেই নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড বাতাসে দূষণ ছড়ায়। তাই নাসার বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের দাপট শুরু হতেই চীনে রাস্তায় বেরোনোর প্রবণতা কমেছে। অনেকেই ঘরে বা হাসপাতালে বন্দী। ‘কোয়ারান্টাইন’ চলছে। রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। কারখানার উৎপাদনও কমেছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে।

ব্লুগবার্গ ইকনমিক্সের তথ্য বলছে, বেশিরভাগ কারখানা মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৩০-৪০ শতাংশ কম উৎপাদন করছে। অ্যাপেল, জাগুয়ার, ল্যান্ড রোভার, ফক্সভাগেনের মতো সংস্থা পড়েছে মহাদুশ্চিন্তায়। কারণ জিনিস তৈরি এবং বিক্রির জন্য এরা অনেকটাই চীনের উপর নির্ভরশীল।

চীনের ৩০ কোটি সুলভ শ্রমিকও এদের সম্পদ। কিন্তু করোনাভাইরাস সব হিসাব উল্টে দিয়েছে। যে কারণে চীনের পারচেসিং ম্যানেজার`স ইনডেক্স জানুয়ারি মাসে ৫০ থেকে কমে ৩৫.৭-এ নেমেছে। একে উৎপাদনের সূচক ধরা হয় চীনে। লাভের লাভ শুধু, একটু তাজা বাতাসে শ্বাস নিতে পারছেন চীনেরা।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ৫৯টি দেশ। এ ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৯১২ জন। আর বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার।

করোনার পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে শি জিনপিং সরকার। রোগের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানসহ বেশ কয়েকটি শহর লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস, বাজার ও কারখানা। শিল্পে উৎপাদন কমার ফলে অনেকাংশেই থমকে গিয়েছে চীনের অর্থনীতি। তবে এর ফলে বাতাসে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের মাত্রা কমেছে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer