ছবি : সংগৃহীত
মৌলভীবাজার : চার দফা আদায়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) মালিকানাধীন ৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকে সরকারী মালিকানাধীন ন্যাশন্যাল টি কোম্পানী (এনটিসি)-ও কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরুঞ্জী চা বাগানে এ কর্মবিরতি শুরু করে চা শ্রমিকরা।
কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশি, বাঘাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রাখাল গোয়ালা ও কুরুঞ্জী চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শিমন্ত মুন্ডা জানান, গত ৪ আগস্ট এই তিন বাগানে মাত্র দুটি দাবি নিয়ে চা শ্রমিকরা টানা ৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে। তখন কুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক তিন চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির নেতৃবৃন্দের কাছে আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত এ দাবি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। এই আশ্বাসে তিন চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে।
কুরমা চা বাগান ব্যবস্থাপকের আশ্বাস প্রদানের প্রায় তিন মাসের মধ্যেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে চার দফা আদায়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ফের তিন বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, চার জন শ্রমিক সন্তানকে শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করার সুযোগ দান, দৈনিক হাজিরা প্রাপ্ত মজুর সর্দারকে স্থায়ী নিয়োগদান, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের মাটির দেয়াল নির্মাণের বিল পরিশোধ করা ও চা শ্রমিকদের গ্রাচ্যুয়েটি প্রদান করা।
তিন চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু সম্পর্কে কুরমা চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো: শফিকুর রহমানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী, সহ-সভাপতি গায়ত্রী রানী দাস ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা এই তিন বাগানে অনির্দিষ্টকালে কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, কুরমা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো.শফিকুর রহমান চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভ্যালি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলতে চাননি। মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন চা বাগানের শ্রমিকের কর্মবিরতি পালন সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনা তিনি জানেন না। তাছাড়া কুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপকও তাকে কিছু জানাননি
বহুমাত্রিক.কম