অতিসংক্রামক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিপুল সংখ্যক পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার দেশটির শীর্ষ চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টা এমন তথ্য দিয়েছেন।-খবর ডেইলি বিস্টের
এতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক নতুন লড়াইয়ের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। করোনার নতুন ধরন ইতিমধ্যে কয়েক ডজন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহামারির আগের যে কোনো ঢেউয়ের তুলনায় করোনার নতুন ধরন অনেক বেশি ছড়াচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াসিলা জাসাত বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এই সংখ্যাটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তিনি জানান, এরপরেই রয়েছে, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তারা। শিশুদের পরেই বৃদ্ধদের হাসপাতালে বেশি ভর্তি হতে হচ্ছে। এখন যে প্রবণতা দেখছি, তা আগের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের হাসপতালে ভর্তির হওয়ার ঘটনা। যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
এ চিকিৎসক আরও বলেন, আমরা সবসময় দেখে এসেছি, করোনাঢ শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতো না বা তাদের হাসপাতালে কম ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ত। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে তাদের ব্যাপকহারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
এদিকে অমিক্রন ধরনে দক্ষিণ আফ্রিকা করোনা মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে। তবে হাসপাতালগুলোতে এখনো চাপ তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা।
জো ফাহলা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের মধ্যে সাতটিতে নতুন এ ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে, এ ধরন খুব বেশি মানুষের প্রাণ নিতে পারবে না। তিনি দেশবাসীকে টিকার দুই ডোজই নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, এটিই অমিক্রনের বিরুদ্ধে সেরা সুরক্ষা।