সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে বরখাস্ত ও হোস্টেল সুপারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। এ অনুসন্ধান কমিটি হাইকোর্টে তাদের প্রতিবেদনে বলে, সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে যান ওই তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে তরুণীকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয় ছয়জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আসামিদের মধ্যে তারেক ও বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।