মানব ও অর্থপাচার এবং ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক টুইটবার্তায় এ দাবি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক– বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আমাদের দরজা সবসময় খোলা।
এমপি পাপুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংসদে। বুধবার বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে কুয়েতের নাগরিক কিনা, সে বিষয়ে কুয়েতের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আর যদি এটি হয়, তার পদটি (লক্ষ্মীপুর-২ আসন) খালি করে দিতে হবে। সব কিছু আইন অনুযায়ী চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার পাপুলের কুয়েতে অবস্থানের বিষয়ে বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, পাপুল কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েত যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওখানকার কোম্পানির সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশের এ সাংসদকে তারা সে দেশের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার করেছে।
পাপুল বর্তমানে কুয়েতের কারাগারে বন্দি। সেখানে ২১ দিন থাকতে হবে তাকে।