ঢাকা : কক্সবাজারের টেকনাফের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ভারতের দূরপাল্লার সাঁতারু মুকেশ গুপ্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬.১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সেন্টমার্টিন পৌঁছান তিনি। এতে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা ৮ মিনিট। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে আসা মুকেশের স্লোগান ছিল ‘জল বাঁচাও, গাছ বাঁচাও’।
জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবসৃষ্ট দূষণের কবলে ভূউপরিস্থ পানি ও গাছপালা চরম সংকটে। একটু সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণে এই সংকট রোধ করা সম্ভব। এই বিশ্বাস থেকেই মুকেশ গুপ্ত তার এই দুঃসাহসিক বাংলা চ্যানেল সাঁতার বলে জানান। ২১ বছর বয়সী ডানপিটে স্বভাবের মুকেশ গুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অসংখ্যবার ব্রিজ জাম্পিং করেছেন। কেবল হাওড়া ব্রিজ থেকেই ৩২ বার জাম্প দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। তিনি আগামীতে আন্তঃমহাসাগরীয় কায়াকিং, ভারতীয় চ্যানেলসহ আরও নতুন ও দুঃসাহসিক দূরপাল্লার সাঁতারের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে মুকেশের এই সাঁতার অভিযানে দিকনির্দেশনায় সাঁতার প্রশিক্ষক ও মেন্টর কলকাতার পুষ্পেন সামন্ত। রেফারির দায়িত্বে ফিফা রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর ছিলেন রাফাহ উদ্দিন সিরাজী। সহযোগিতায় ছিল নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ, ট্যুর অপারেটর এলিগ্রো ট্যুরস, মেডিকেল সাপোর্ট অ্যা হেলদি হোম বিডির ডা. মাহমুদুল হাসান খান, লাইফ গার্ড ছিলেন সিআইপিআরবির সি সেফ সুইমিংয়ের মোহাম্মদ কামাল।
বাংলা চ্যানেলের আবিষ্কারক প্রয়াত ফটোগ্রাফার কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা বেজ ক্যাম্পের তিন সাঁতারু ফজলুল কবির, লিপটন সরকার ও সালমান সাঈদ প্রথমবার এই চ্যানেল অতিক্রম করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর বাংলা চ্যানেল সাঁতার আয়োজন করা হচ্ছে।