ঢাকা : মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত জঙ্গি হামলার সংখ্যা কমলেও ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস) এবং ‘আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের’ (একিউআইএস) মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলার ঝুঁকিতে এখনও যায়নি।
বুধবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে সংঘটিত তিনটি হামলার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল। এ সংখ্যা আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালের চেয়ে কম।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রতিবেদনের ভাষ্য, বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে আদান-প্রদান করেলেও দেশটি জঙ্গিদের কোনও নজরদারি তালিকা প্রস্তুত করেনি। তাছাড়া বাংলাদেশের ইন্টারঅ্যাক্টিভ অ্যাডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম নেই।’
উৎকণ্ঠার অপর একটি বিষয় হিসেবে প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত অপরাধ প্রমাণে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার মতো জটিল অভিযোগের তদন্ত করা ও অভিযোগ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা যথেষ্ট নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে আফগানিস্তানের বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশটি এখনও আফগান তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের আগ্রাসী ও পরিকল্পিত হামলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার অনেকগুলোই পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটি থেকে পরিচালিত। ভারতও জঙ্গি হামলার স্বীকার হয়ে চলেছে। ভারতের প্রসঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সশস্ত্র মাওবাদী যোদ্ধাদের প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে।