কৃষিবিদ মো. আব্দুর রহমান তোমাকে ১৮ অক্টোবরে তোমার জন্মদিনে জানাই অশেষ ও অফুরান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তুমি পিতা- মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং মাতা- মোছা. রাবেয়া খাতুনের কোল আলোকিত করে এইদিনে জন্মেছিলো বোদা পৌরসভায়।
তুমি শিক্ষা জীবনে বোদা পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর থেকে কৃতিত্বের সাথে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করে ভর্তি হও বাংলাদেশের আরেক গর্বের প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্তরে। সেখানকার আলো-বাতাসে কাটিয়েছ তোমার যৌবনের উদ্দীপ্ত দিনগুলো। তুমি ক্যাম্পাসে যুক্ত ছিলে প্রগতিশীল শুদ্ধ ছাত্র রাজিনীতির সাথে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায় করেছ হবু কৃষিবিদদের পক্ষে। গর্বিত কৃষি গ্র্যাজুয়েট হয়ে তুমি চাকুরিতে ছিলে দরিদ্র কৃষক-কৃষাণীর কল্যাণে। সেখানে আমিও গর্বিত যে তোমার একজন সহকর্মী হতে পেরেছিলাম।
সেখানে আমাদের আরো অনেক প্রিয়জন একসাথে কাজ করার গৌরব অর্জন করেছিলাম যা এখনো স্মৃতিপটে জ্বলজ্বল করছে। সেখান থেকে এসে তুমি ঢাকায় আমাদের সকলের শুভাকাঙ্ক্ষীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছো। যুক্ত হয়েছ সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল কাজ হিসেবে কৃষি সাংবাদিকতায়। গড়ে তুলেছ ২০০৯ সালে পাক্ষিক কৃষি প্রযুক্তি পত্রিকা। প্রতিবছরের ২৬ নভেম্বর যার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে আসছ। দেখতে দেখতেই সময় চলে যায়। সময়ের হিসাবে ২০১৯ সালে হবে তোমার এ পত্রিকাটির ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। তোমার এ শুভক্ষণে তোমার সহধর্মিণী আমার অনুজ আমাদের সকলের অতি প্রিয়জন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নূরমহল আক্তার ডরিনকেও শুভেচ্ছা। কারণ তিনিই তোমার সকল কাজের অনুপ্রেরণা। তোমার নিজের জন্মদিনের এ উষালগ্নে এবং তোমার সৃষ্ট পাক্ষিক কৃষি প্রযুক্তি পত্রিকাকেও শুভাশীষ জানাচ্ছি। তুমি দীর্ঘজীবী হও। সমাজ-দেশ-বিশ্ব উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ।
লেখক : রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
কৃষিবিদ মো. আব্দুর রাহমান
বহুমাত্রিক.কম