ব্যবসায় লাভই হচ্ছে না-এই অজুহাতে ক্রমাগত আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০১৬ সালে অর্থাৎ যে বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসছিলেন ট্রাম্প, সে বছর মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার ফেডারেল আয়কর দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালেও একই অঙ্কের কর মিটিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকী, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর তো তিনি কোনও আয়করই দেননি বলে দাবি করেছে ওই সংবাদ মাধ্যম। প্রতি বছরই ট্রাম্প দাবি করেছেন, ব্যবসায় লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। অথচ ওই সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্তদন্ত অন্য কথা বলছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে বারবার। কারণ, তিনি কত টাকা কর দেন, সে বিষয়টি প্রকাশ করতে চাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ওই সংবাদ মাধ্যমের ওই রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাঁর পালটা দাবি, প্রকাশিত ওই তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো। তিনি কর দেন। যদিও সেই করের অঙ্ক সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রাম্প। বরং এ প্রসঙ্গে তাঁর সংস্থার এর আইনজীবী অ্যালান গার্টেন বলেন, ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত বেশকিছু তথ্য অসত্য। ট্রাম্পের হয়ে তাঁর সাফাই, “গত দশ বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্প দশ মিলিয়ন বা এক কোটি টাকা ব্যাক্তিগত কর মিটিয়েছেন। ২০১৫ সালে নির্বাচনে লড়ইয়ের কথা ঘোষণ হওয়ার পরও এই কর মিটিয়েছেন ট্রাম্প।” তবে তিনিও করের অঙ্কটা প্রকাশ করেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কর দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করা আমেরিকার আইনে বাধ্যতামূলক নয়। তবে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সময় থেকেই সকলে এই হিসাব প্রকাশ করেন। সেই রীতিতে ছেদ টেনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি রীতিমতো আইনি লড়াইও লড়েছেন।