ঢাকা : পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর নামে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন নাটোরের উত্তরা গণভবনের মূল নকশার পরিবর্তন করে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রিটে উত্তরা গণভবনের ঐতিহ্য রক্ষায় নতুন স্থাপনা নির্মাণ উদ্যোগ স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি গণভবনের ভেতর ও বাইরে টাঙানো এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড অপসারণ চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও উত্তরা গণভবনকে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
নাটোরের অধিবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল রবিবার জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।
রিটকারী এই আইনজীবী জানিয়েছেন, সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নাটোরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘উত্তরা গণভবন: ঐতিহ্যে কুঠারাঘাত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রিটে ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন নাটোরের উত্তরা গণভবনকে আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণীয় করার নামে ভেতর ও বাইরে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে গণভবনের ভেতরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি থ্রিডি সিনেপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্নিষ্ট প্রকল্পটি পাস না হলেও রাজশাহীর এক ব্যক্তিকে আংশিক কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড গণভবনের ভেতর ও বাইরে টাঙানো হয়েছে।
পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর নামে বিখ্যাত রাজা দয়ারাম রায়ের শাসনামল, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ স্থাপনায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে কয়েকশ` বছরের ঐতিহ্যের বুকে কুঠারাঘাত করা হবে বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় সুধীমহল।
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, কেবল বিবেচনার জন্য প্রস্তাব আকারে এ-সংক্রান্ত প্রকল্পটি গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইউ.এন.বি নিউজ