তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জামিন দেননি আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান (তুহিন)।
জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবরিনার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ পিছিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
গত ৩০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় বলা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে।
একটিতে জন্ম তারিখ দেয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।