নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, একজন যুগ্ম সচিব ও পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে এই চিঠি দেয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ ও যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি পিকপাকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এছাড়া,নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে দু’জন নিহত হন। তখন পুলিশ কোনও তৎপরতা দেখায়নি। কিন্তু বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়ে বসে। কথিত আচরণবিধির খড়্গ নেমে আসে বিএনপির ওপরে। ইসি সচিব আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।’
চিঠিতে বিএনপি বলেছে, তফসিল ঘোষণার পর সরকারি দল ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। এ সময় তাদের নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজনের প্রাণহানি ঘটে। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কিন্তু আচরণবিধির খড়্গ নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিকে আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করে। ১৩ নভেম্বর এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা ডিএমপিকে চিঠি দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি অফিসের সামনে সন্ত্রাসী ঘটনা সংঘটিত হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংঘটনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।’
বহুমাত্রিক.কম