পশ্চিম ইউরোপে মারাত্মক বন্যার আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরেও জার্মানি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের ক্ষত শুকায়নি। বৃহস্পতিবার জার্মান কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এখনও ১৫৮ জনকে খুঁজে পায়নি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় এ পর্যন্ত ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে জার্মানিতে মারা গেছে ১৭৩ জন আর বেলজিয়ামে মারা গেছে ৩২ জন।
বন্যায় জার্মানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল ও সড়ক ব্যবস্থা। দেশটির অঙ্গরাজ্য নর্দরাইন ওয়েস্টফালেন ও রাইনলান্ডফাল্জ এর যেদিকেই চোখ যায় সবখানেই ধ্বংসের চিহ্ন। শতাব্দীর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিশেহারা আর বাকরুদ্ধ এই দুই অঞ্চলের বাসিন্দারা।
ভয়াবহ বন্যায় ৩ থেকে ১০ মিটার উচ্চতার উজান পানির ঢলে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আশায় আছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এমন পরিস্থিতিতে সর্বস্ব হারানো ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দেশটির সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি ও রাজনীতিকরা।
এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট জেহফারসহ দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।
মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। আপাতত যারা সর্বস্ব হারিয়েছে সরকার তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠনে সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বন্যার আগাম সতর্কবার্তা দিতে না পারার অভিযোগ তুললেও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কেল প্রশাসন।