মাটির টান, বাঁশির সুর আর লোকগান এই সিনেমার উপজীব্য। এই উপজীব্যকে অন্তরে ধারণ করেই কুমারপাড়ার কথা, কুমারদের মাটি নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের কথা, বাজার থেকে মাটির জিনিসের চাহিদা উঠে গেলেও ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তাসহ প্রায় বিলীন হতে যাওয়া এ শিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে মাটিশ্বর ছবিতে।
চলচ্চিত্রটির পুরোটাই মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ধারণ করা হয়েছে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাসিন গ্রামে।
নির্মাতা চৈতন্য রাজবংশী ইউএনবিকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই কুমারদের দেখে আসছি। তাদের হাতের নরম স্পর্শে মাটি যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। নিপুণ কারুকার্যময় তাদের এই জীবন প্রবাহ। মাটির সাথে তাদের এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মাটিই যেন হয়ে উঠে ঈশ্বর। মাটির স্বরূপ সন্ধান করতে গিয়েই মাটিশ্বর নির্মাণ করেছি।’
এর আগে দু:সাহসী নারীর আখ্যান নিয়ে সিনেমা ‘প্রত্যর্পণ’, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রারম্ভ’; মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘না’, সিটমহল সমস্যা নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পরভুই’, হিন্দুধর্মের বলি প্রথার উপর চলচ্চিত্র ‘বলি’ নির্মাণ করেন চৈতন্য রাজবংশী।