ছবি- বহুমাত্রিক.কম
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর ডিফেন্ডিং এনভায়রনমেন্টাল রাইটস এন্ড প্রমোটিং জাস্টিস সুবিধাভোগী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) কমিটির সমম্বয়ে ছড়ার বালু মহাল ও পাথর কোয়ারি ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডে টি হেভেন রিসোর্ট এর কনফারেন্স হলরুমে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুবিধাভোগী পরামর্শ সভার শুরুতে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর সিলেট বিভাগীয় সম্বয়ক এড. শাহ সাহেদা আক্তার প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিল্প কারখানা, নদীছড়া ও পাথরকোয়ারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত কার্যক্রমে পরিবেশগত প্রভাব ও বেলা’র কার্যক্রম নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর তাহমিনা ইসলাম।
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বাপা মৌলভীবাজারের জেলা সমম্বয়ক আ.স.ম. সালেহ সোহেল, সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, শিক্ষক জালাল উদ্দীন রুমী, বাপা হবিগঞ্জ এর সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, আদিবাসি নেতা জিডিসন প্রধান সুচিয়ান, বেলা সিলেট অফিসের কর্মকর্তা মো. আল আমীন, বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য ও সাংবাদিক নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় জনপ্রতিনিধি, পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক, নারীকর্মী, বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরামর্শ সভা শেষে গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের নদী ও ছড়া থেকে বালু উত্তোলন এবং হবিগঞ্জের শিল্প ও সুতাং নদী দুষণের সমস্যা ও পরামর্শ বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সভায় শিল্পকারখানা, সুতাং নদী দুষণ, নদীছড়া থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন ও পাথরকোয়ারি বিষয়ে নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। চা বাগান, বনাঞ্চল, কুষিজনবসতি, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বালু মহাল বা পাথর কোয়ারি ঘোষণা না করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) কমিটির সমম্বয়ে ছড়ার বালু মহাল ও পাথর কোয়ারি ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
বহুমাত্রিক.কম