ইরাকের শিয়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী সিসতানির সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফে রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে গণমাধ্যমের কোনো ক্যামেরা ঢুকতে দেয়া হয়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার বাগদাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে শিয়া মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত নাজাফে পৌঁছান ক্যাথলিক গুরু পোপ ফ্রান্সিস। পোপের সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয় সেখানে। হযরত আলী এর সমাধিসহ বিভিন্ন দিক থেকে শিয়াদের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এই শহর। এছাড়া হযরত ইবরাহিম সহ বহু নবীর জন্ম এখানে।
নাজাফে পৌঁছার পর শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী সিসতানির সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের বিরল বৈঠক হয়। ৯০ বছর বয়সী সিসতানির সঙ্গে ৮৪ বছর বয়সী পোপের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তেমন কিছু জানাতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। এমনকি ঐ বৈঠকে সাংবাদিকদের ঢোকার কোনো অনুমতি ছিল না।
একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে মানুষের ওপর নজিরবিহীন ও সূক্ষ্ম প্রভাব রয়েছে সিসতানির। কয়েক দশকের একনায়কের শাসন, দখলদারিত্ব ও সংঘাতের মধ্যেও অনুসারীদের পথ দেখিয়ে গেছেন তিনি। আর তাই সিসতানির সঙ্গে পোপের বৈঠককে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সিসতানির সাথে বৈঠকের পাশাপাশি হযরত ইবরাহিম জন্মভূমিতে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইয়াজিদিসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এতে অংশ নেন।
এর আগে, শুক্রবার দুপুর দুটায় বাগদাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো পা রাখেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ২০১৩ সালে পোপ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর।