ঢাকা : আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে ১৯ লক্ষাধিক মানুষ বাদ পড়ায় সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আসামের নাগরিকত্ব হারানো কেউ যেন সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রয়েছে পুলিশের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর পুশ-ইন প্রতিহত করতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার জন্যও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের অনুপ্রবেশের ঘটনা বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। এ নিয়ে নাগরিকদের পক্ষ থেকেও ছিলো নানা অসন্তোষ। এমতাবস্থায় শনিবার নাগরিকদের এ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা পর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। রাজ্য হারানো এই মানুষগুলো যাতে সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি। আছে পুলিশের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী থানা এলাকায় বিশেষ নজরদারি।
সিলেটের গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট থানা এলাকায় ভারত সীমান্ত। মূলত জকিগঞ্জের সাথে আসাম রাজ্যের মূল সংযোগ। এসব এলাকার প্রতিটি সীমান্তেই সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। তবে সীমান্তের ওপারে এখনো কোন গোলযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে বাংলাদেশ জার্নালকে জানিয়েছেন বিজিবি-১৯ (জকিগঞ্জ) এর পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময়ই সতর্ক অবস্থানে আছি। তাছাড়া যেহেতু তালিকাটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই আসাম রাজ্য কাজ করছে তাই আমরা শুরু থেকে সতর্ক ছিলাম। এখনো সতর্ক আছি। তবে যে কোন ধরণের পুশ-ইন ঠেকাতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা একদম সীমান্তে কৃষি কাজ করেন তাদেরকে বলা হয়েছে ভারতীয় সীমান্তে কোন তৎপরতা দেখা গেলেই যেন আমাদের জানায়।
এদিকে পুলিশ বলছে যদিও এসব কাজ বিজিবির। তবুও সীমান্ত এলাকার সকল থানাগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে। বিজিবির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন- সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. আমিনুল ইসলাম।