ছবি- বহুমাত্রিক.কম
করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়েই জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কোরবানীর পশুর হাটে স্বাস্থবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। চলছে স্বাভাবিক সময়ের মত জনসমাগম করেই হাটে বেচাকেনা। এতে করে দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আক্কেলপুরসহ পার্শ্ববর্তী বদলগাছী, আদমদিঘী, ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ছাগল বিক্রির জন্য সরকারী মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠের হাটে নিয়ে আসা হয়।এ হাটে গবাদি পশু ক্রয়ের জন্য দুর-দুরান্ত থেকে গরুর ব্যাপারীরা আসেন। বাইরের ব্যাপারি ছাড়াও এলাকার অনেক ব্যাপারী এই হাট থেকে গরু ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় বিক্রির জন্য এবং উপজেলার মানুষ কুরবানীর জন্য গরু, ছাগল ক্রয় করেন। উপজেলার মধ্যে এই হাট বড় হবার কারণে ব্যপক লোক সমাগম ঘটছে।
সরকার কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দুরত্ব বজায় ও মুখে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের শর্তে দেশের হাটবাজার বিশেষ করে গো-হাট গুলোতে বেচাকেনার নির্দেশ দিয়েছেন। যার কোনটাই বিন্দু মাত্র মানতে দেখা যায়নি।
সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করেই উপজেলার গোপীনাথপুর, তিলকপুর, জামালগঞ্জসহ সবগুলো গো-হাটে ইজারাদার হাটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। তারা হাটে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কোন ব্যবস্থা করেন নি।
হাট গুলোতে গবাদিপশু ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসা লোকজনের চলাচল যেন স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে হাটের ভিতর চলাচল করছে হাটুরিয়ারা। এ সকল বিষয়ে ইজারাদারদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতারা।
পশু বিক্রেতা আব্দুল কাদের জানায়, ‘গো-হাটের ভিতর জনসমাগমের চাপে হেটে চলার উপায় নেই। বেশি সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি’।কুরবানির গরু ক্রেতা ফেরদৌস আলম জানায়, ‘এই ভিড়ে আর প্রচন্ড গরমে মাস্ক ব্যবহার করা যায়নি। তাই খুলে রেখেছি’।
আক্কেলপুর কলেজ বাজার হাটের ইজারাদারের পক্ষে আতাউর রহমান জানান, ‘আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি হাটবারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমরা কি করব’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘সরকারি বিধি মোতাবেক হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
বহুমাত্রিক.কম