আক্কেলপুর : জেঁকে বসেছে তীব্র শীত সাথে সারা দেশে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এর জের ধরে আক্কেলপুরে শীত জনিতরোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ইতমধ্যে শীত জনিত রোগে মারা গেছেন ১৬ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আলু, সরিষা, পিঁয়াজ সহ ইরি-বোরো ধানের বীজতলা।
এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে নতুন বছরের গত কয়েক দিনে পৌরসভা এলাকার চৌধুরী পাড়ার বাবু চৌধুরী (৪৫), পুরাতন বাজারের ছামছুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৮), চক্রপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ রোস্তম আলী, আবাদপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবঃ শিক্ষক গোলাম মাহমুদ, কলেজ বাজারের পান দোকানী বাবু মিয়া (৩৬), হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের ফজলুর রহমান প্রমানিক (৭০), হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের অবঃ ব্যাংক কর্মকর্তা, ওই গ্রামের মৃদুল হোসেন(২৬), তিলকপুরের মুক্তিযোদ্ধা অফির আলী (৭০), শান্তা গ্রামের মুক্তি যোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, পুনঘরদিঘী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন, হরিশাদী গ্রামের মুক্তি যোদ্ধা হারেজ উদ্দিন(৭০), বিহার পুর গ্রামের আনোয়ারা বেওয়া (৬৭), একই গ্রামের জামাল উদ্দিন(৮৫) ও কলেজ বাজারের চাল ব্যবসায়ী আবাদুস সামাদ, মাদ্রাসা পাড়ার অজ্ঞাত নামা সহ অরো বেশ কয়েকজন নাম না জানা নারী পুরুষ শীত জনিত রোগে আক্রন্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও ঘণ কুয়াশার কারণে সদ্য লাগানো প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর নাবিলা (নমলা) আলু, ৫০ হেক্টর ইরি-বোরোর বীজ তলা, ৩’শ হেক্টর সরিষা ক্ষেত, প্রায় দু’শ হেক্টর এর অধিক পিঁয়াজ ও পিঁয়াজের চারা ক্ষতিগ্রস্থ সহ সকল প্রাণীকুল জবুথবু হয়ে পড়েছে। অতিঠান্ডায় গাছ থেকে ডাব ফেটে পানি ঝরে যাচ্ছে। মৌচাক থেকে শত শত মৌ মাছি মরে মাটিতে পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ফুল জাতীয় ফসলের পরাগায়ন ব্যাহত হওয়াই উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। সেই সাথে কাঁচামরিচের ঝাল বাড়তে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল আমিন বলেন, চলতি তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও ঘণ কুয়াশার কারণে বীজ তলার ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাধেশ্যাম আগরওয়ালা বলেন, চলতি মাসে শীত জনিত রোগে প্রায় ১৬ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। তীব্র শীত আর চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বহুমাত্রিক.কম