ছবি : বহুমাত্রিক.কম
জয়পুরহাট : ১৩ ডিসেম্বর, বুধবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পাক হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাক বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা করে আক্কেলপুরকে। সেই সাথে উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলার পতাকা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নবিবুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল শান্তাহার থেকে রেল পথে এসে উপজেলার ভদ্রকালী গ্রামে তান্ডব চালায় পাক হানাদার বাহিনীরা। চলে ধারাবাহিকভাবে নির্মম অত্যাচার। জবাবে বাংলার সূর্য সন্তান বীর মুক্তি যোদ্ধারা চারিদিকে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা বিভিন্ন টিমে সজ্জিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারদিক।
বাহিনীরা দেশীয় দোসর (রাজাকার) এর সহায়তায় দূর্গা বাবুর বাড়িতে ও পার্শ্ববর্তী সিনিয়র মাদ্রাসায় ক্যাম্প করে টর্চার সেল তৈরী করে। তারা বিভিন্ন নিরিহ মানুষ ও মুক্তি যোদ্ধাদের সেখানে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করে পার্শ্বে গণকবর দেয়। এক টানা ৯ মাস তাদের গেরিলা যুদ্ধের কবলে পড়ে তারা টিকতে না পেরে অবশেষে পলায়ন করে। পাক সেনারা ১২ ডিসেম্বর বিকাল থেকেই ধিরে ধিরে পলান করতে থাকে। তারা পূর্ব ও উত্তর দিকে ক্রমশ দূর্বল চিত্তে আক্কেলপুর ছেড়ে যায়।
১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে সকাল ৯ টায় বীর মুক্তি যোদ্ধা ফরমাজুল হক পান্নার নের্তৃত্বে একদল মুক্তি যোদ্ধা আক্কেলপুর ঘিরে ফেলে পাক সেনাদের ক্যাম্প তথা টর্চার সেল নামে পরিচিত দূর্গা বাবুর বাড়ি দখল করে।
সেখানে বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করে আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে পূর্ব দিকে সালাম আকন্দ সাহেবের বাড়িতেও বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতি বছর এই দিন আক্কেলপুরবাসী শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
বহুমাত্রিক.কম