ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পুরস্কার পেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) গবেষকরা। ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমের জাত উদ্ভাবন সংক্রান্ত চলমান গবেষণা এই পুরস্কার অর্জন করে।
রোববার রাজধানীর রেডিসর ব্লু হোটেলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত আইডিবি প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম. এইচ. হাজ্জার এর হাত থেকে এই পুরস্কারের চেক গ্রহণ করে গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম।
‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আইডিবি বাংলাদেশ থেকে ‘ট্রান্সফর্মার রোডশো’র মাধ্যমে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ধারণা আহ্বান করে। প্রাপ্ত প্রযুক্তি ধারণা থেকে বিশটি প্রযক্তিকে বাছাই করা হয়। রোববার অনুষ্ঠিত ‘আইএসডিবি ট্রান্সফর্মার রোডশো’র চূড়ান্ত বাছাইপর্বে তিনটি প্রযুক্তিকে পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল তার মধ্যে অন্যতম।
ড. তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে ‘ডেভেলপমেন্ট অব নোবেল ব্লাস্ট রেসিস্ট্যান্ট হুইট ভ্যারাইটি বাই ইউজিং ক্রিসপার/ক্যাশনাইন জেনোম এডিটিং’ শীর্ষক প্রকল্পে অর্থায়ন করছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ও বিবিএসআরসি। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হুইট ব্লাস্ট রিসার্চ গ্রুপ ও যুক্তরাজ্যের সেন্সবোরি ল্যাবরেটোরির যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৬ সালের বাংলাদেশের আট জেলায় গমের ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনের পর ড. তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে চার মহাদেশের ৩১ জন গবেষক ফিল্ড প্যাথোজেনিক প্রযুক্তির মধ্যেমে গমের ব্লঅস্ট রোগের জীবাণূ শসনাক্ত করেন।
ইতিমধ্যে এই গবেষক দল জেনোম সম্পাদনার জন্য ৫টি সংবেদনশীল জিন চিহ্নিত করতে সাক্ষম হন এবং ক্রিসপার/ক্যাশনাইন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গমের জনপ্রিয় জাতের জেনোম সম্পাদনা করেন। গবেষকদের আশা, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২/৩ বছরের মধ্যে গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উন্নয়ন সম্ভব হবে।