ছবি- বহুমাত্রিক.কম
‘পৃথিবীতে বর্তমানে একটি অসম লড়াই চলমান রয়েছে। সত্যের সঙ্গে অসত্যের এই লড়াইয়ে তরুণদের অংশগ্রহণ সত্যের পক্ষে। বিশ্বজুড়েই ক্ষমতালিপ্সু লুটেরা শ্রেণির টার্গেটে পরিণত হয়েছে প্রতিবাদী তারুণ্য।’
মহান একুশের সকালে একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণ পাঠকের সমাবেশে ময়মনসিংহের ত্রিশালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে স্বপ্নবিলাস উন্মুক্ত পাঠাগারের পাঠক মিলনমেলায় অংশ নিয়ে এমন বক্তব্য রাখলেন গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের অগ্রগামী তরুণ ও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহেদী কাউসার ফরাজী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মেহেদী কাউসার ফরাজী এসময় আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় গণগ্রন্থাগার সেমিনার হলে দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে পাঠাগার নির্মাণের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম, সেই ধারাবাহিকতায় পোড়াবাড়ীর স্বপ্নবিলাস পাঠাগার, জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার ও জঙ্গলবাড়ী বাতিঘরের মতো ত্রিশাল ও ফুলবাড়ীয়ায় অন্তত ডজনখানেক গ্রাম পাঠাগার গড়ে ওঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘সিলেবাসের গতানুগতিক পড়া আমাদেরকে দাসত্বের শিক্ষা দেয়, তাঁবেদারির শিক্ষা দেয়, কিন্তু মুক্তির পথ তেমনটা দেখায় না। সেজন্য আত্মমুক্তির জন্য সিলেবাসের বাইরের বই পড়তে হবে।’ তিনি নবীণ পাঠকদের প্রতি বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ আমাদেরকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বই পড়তে হবে, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়তে হবে, খন্দকার মোশতাকের সম্পর্কেও জানতে হবে। সব দৃষ্টিভঙ্গির লেখা পড়লে আমাদের মগজই বলবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা।’
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই অঞ্চলে গ্রাম পাঠাগার নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া জঙ্গলবাড়ী বাতিঘরের সভাপতি মেহেদী কাউসার ফরাজী বলেন, ‘ক্ষমতালিপ্সু লুটেরারা তরুণদের প্রতিপক্ষের আসনে বসিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে তাদের পথরোধ করতে চায়। কিন্তু, সুভাষ-মুজিব-নজরুলের উত্তরসূরী তরুণরা সর্বদাই সত্যের পথে অগ্রগামী হয়ে প্রগতির দিকে এগিয়ে চলেন’।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে সিলেবাসের পড়ার পাশাপাশি মনুষ্যত্বের শিক্ষা প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষকবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
বহুমাত্রিক.কম