করোনা সংক্রমণের পঞ্চম টেস্ট নেগেটিভ এসেছে কণিকা কাপুরের। যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন।
চতুর্থ টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার পরে হতাশ বেবি ডল সমস্ত অনুরাগীদের অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর জন্য প্রার্থনা করতে। যাতে পঞ্চম টেস্ট তাঁর নেগেটিভ আসে। সবাই গায়িকা কণিকা কাপুরের হয়ে প্রার্থনা করেছেন কিনা জানা নেই। তবে করোনা সংক্রমণের পঞ্চম টেস্ট নেগেটিভ এসেছে শিল্পীর।
যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন। কণিকা কাপুর সম্প্রতি চতুর্থ করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল সোশ্যালে শেয়ার করেছিলেন, যা পজিটিভ ছিল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, আগের থেকে ভালো আছেন তিনি।
কণিকা কাপুর প্রসঙ্গে সঞ্জয় গান্ধি স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান ডা. আর কে ধীমান জানিয়েছেন: শিল্পীর শরীরে ভাইরাসের আর কোনও লক্ষণ নেই। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি এখন স্বাভাবিক পথ্যই খাচ্ছেন।SGPGIMS প্রধান অধ্যাপক আর কে ধীমান এর আগে জানিয়েছিলেন, কণিকার যেহেতু চারবার করোনা পজিটিভ এসেছে তাই আরও দু`বার পরীক্ষা করা হবে। সেই ফলাফল নেগেটিভ এলে তাঁকে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হবে। ততদিন পর্যন্ত চিকিৎসা চলবে তাঁর।
তবে এখনও কণিকা আলাদা একটি ঘরে আইসোলেশনে আছেন। সেই ঘরেই রয়েছে অ্যাটাচড বাথ।.তাঁর জন্য রয়েছে আলাদা টিভি সেট। এছাড়া, এই ধরনের রোগীদের জন্য যে বিশেষ এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা রয়েছে সেই সুবিধেও পাচ্ছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, লন্ডন থেকে ফেরার পর ১১ মার্চ লখনউ আসেন কণিকা। সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সবার থেকে আলাদা থাকতে বলেছিলেন। তিনি সেই সমস্ত নির্দেশ উপেক্ষা করে রীতিমতো পার্টি করেন।
বিদেশ থেকে ফেরার ১০ দিন পরে শিল্পী ঘোষণা করেন, "গত চার দিন ধরে ফ্লু-এর দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করার পর কোভিড -১৯ ধরা পড়ে। আমি এখন সম্পূর্ণ আইসোলেশনে আছি। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে চলেছি।" এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তিনি পার্টি করায় গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে লখনউ প্রশাসন। খবর, কাপুরের বিরুদ্ধে সরোজিনী নগর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৮৮, ধারা ২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় মামলা করা হয়েছে।