ছবি: বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুরের মৌচাকে সপ্তাহব্যাপী চলমান ১০ম বাংলাদেশ ও ৩য় সানসো স্কাউট জাম্বুরির ৬ষ্ঠ দিন অতিবাহত হলো বুধবার। দিনটিতে অংশগ্রহণকারী স্কাউট ছেলে-মেয়েরা সকাল থেকেই অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সঙ্গী ছিলো দিকনির্দেশনামূলক বার্তা ফিল্ডবুক, কম্পাস, ফাস্ট এইড বক্স, নিরাপত্তা সরঞ্জাম- ইত্যাদি ইত্যাদি।
স্কাউটরা গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কখনও জলাশয় আবার কখনও দুর্গম পাহাড়ি পথে সাংকেতিক চিহ্ন অনুসরণ করে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করে। হাইকিংয়ে ইউনিটভিত্তিক অংশগ্রহণের জন্য ট্র্যাকিং সাইন (অনুসরক চিহ্ন) এবং কম্পাস ব্যবহারের ওপর স্কাউটরা যথেষ্ট অনুশীলন করে আসে।
অনুশীলনের কোড সাইফার, ফিল্ড বুক ও কম্পাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই উপস্থিত বুদ্ধি, কৌশল আর সাহসিকতা দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের এই রোমাঞ্চকর পরীক্ষায় অংশ নেয় স্কাউটরা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষমও হয় তারা। দিনব্যাপী এই ভেঞ্চারে ফিল্ডবুক, ট্র্যাকিং সাইন, তথ্যচিত্র, ধাঁধা, কোড-সাইফার ইত্যাদি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়স্কাউটরা। এবং হাড়ি-পাতিল ছাড়াই রান্না করে দুপুরের খাবারের আয়োজন সম্পন্ন করে।
জাম্বুরির হাইকিং-কে আকর্ষণীয় করার জন্য কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট রাখা হয়। নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী স্কাউটরা হাইকিং উপভোগ করে থাকে। হাইকিং শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ ফিল্ডবুক, ম্যাপ ও প্রতিবেদন হাইক মাস্টারের কাছে জমা দেয় তারা।
জাম্বুরির অন্যতম আকর্ষণ মহাতাঁবু জলসাও অনুষ্ঠিত হয় এদিন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁবু জলসা হচ্ছে চিত্তবিনোদনের জন্য স্কাউটদের নিজস্ব অনুষ্ঠান। যেখানে স্কাউটরা খোলা মাঠে অগ্নি প্রজ্জ্বালন করে এর চারপাশ ঘিরে বসে গান-বাজনা, নৃত্য, নাটিকা পরিবেশন ও উপভোগ করে থাকে। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এবারের জাম্বুরির সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আগামী ১৪ মার্চ রাতে। দেশ-বিদেশের প্রায় ১২ হাজার স্কাউট ছেলে-মেয়ে, স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তা এই জাম্বুরিতে অংশ নিচ্ছেন।
বহুমাত্রিক.কম