ঢাকা টেস্টে সোমবার সকালের সেশনে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন মুমিনুল হক। যা করতে নিজেরও একটু ইচ্ছে হল মুশফিকুর রহিমের। সে সময় সেটা না পারলেও এ ডানহাতি ঠিকই লাঞ্চের পরপরই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের ৭ম বার টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশি।
মুমিনুল ও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ২৬৫ রানের জবাবে স্বাগতিকরা তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৫৭ রান। উইকেটে রয়েছেন মুমিনুল হক ১২০ আর মুশফিকুর রহিম ১০৩ রানে।
গতকালের মতো সোমবারও বেশ আরামেই ব্যাট চালাচ্ছেন মুশফিক-মুমিনুল। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তারা প্রথমে জিম্বাবুয়েরে দেয়া ২৬৫ রান টপকে যান। এরপরই মুশফিক ৮০তম ওভারে ভিক্টর নাইআউচির করা চতুর্থ বলটিকে গালি এবং স্লিপের মাঝখান দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৪৯ থেকে ফিফটিতে পৌঁছান। ৯৫ বল খেলে ১০ চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
মুশফিকের হাফসেঞ্চুরির কিছুক্ষণ পরই মুমিনুল হক ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরির উল্লাসে মাতেন। ডোনাল্ড ত্রিপানোর করা ৮৩তম ওভারের তৃতীয় বলটিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন মুমিনুল। ১৫৬ বলের এই ইনিংসে ১২টি চারের মার ছিল।
মুমিনুলের সেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলতে থাকেন মুশফিক। লাঞ্চের আগেই এ ডানহাতি সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন। দর্শকরাও তার তিন অঙ্কে পৌঁছানোর আনন্দে মাততে নড়েচড়ে বসছিল। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে মুশি কোন ঝুঁকি নেননি। তবে লাঞ্চ খেয়ে ফিরেই এ ডানহাতি ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন।
এ মাসের প্রথম দিকে নিরাপত্তা শঙ্কায় টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে যাননি মুশফিকুর রহিম। তাই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার দলে ফেরা নিয়ে শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি ঠিকই টাইগার স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয় একাদশেও ফিরেছেন। এ সুযোগে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এ ডানহাতি দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন। এজন্য তিনি খেলেন ১৬০ বল। তার ইনিংসটি সাজানো ১৮টি চারে।
মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের লিড হু হু করে বাড়ছে। যে কারণে বেশ চাপে পড়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। এ দুই ব্যাটসম্যান যদি দ্বিতীয় সেশনের বেশিরভাগ সময় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান, তবে চাপটা ক্রেইগ আরভিনের দলের ওপর আরও বাড়বে।