ঢাকা : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আজ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, শরণখোলা উপজলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে সুন্দরবনে আগুন দেয়ার অভিযোগে পুলিশ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত এক মাসে সুন্দরবনে এটি চতুর্থ অগ্নিকাণ্ড। সর্বশেষ আগুনের পর প্রশ্ন উঠেছে সুন্দরবনে বার বার কেন একটি বিশেষ জায়গায় আগুন লাগে?
খুলনায় বন বিভাগের কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে-এগুলো হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার পানি না আসায় ম্যানগ্রোভ বনের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
বিবিসি বাংলার মাসুদ হাসান খানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মি. কবির বলেন, এই অগ্নিকান্ডের সাথে স্থানীয় লোকজনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু ব্যাপারের সম্পর্ক আছে।
‘‘এখানে নলখাগড়ার বন এবং ডোবা আছে - যেখানে এসময়টা পানি জমে থাকে। এখানে স্থানীয় কিছু গোষ্ঠী জীয়ল মাছ অর্থাৎ শিং, মাগুর, কৈ, গজার, শোল বা টাকি মাছ ধরে।’’
‘‘এই মাছ ধরার জন্য এরা নলখাগড়ার বনে আগুন লাগিয়ে দেয়। বার বার একই ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।’’
তিনি বলেন, এই মাছ শিকারের পেছনে সংগঠিত চক্র আছে - যাদের তৎপরতার কথা তেমনভাবে জানা ছিল না বা এটা নিয়ে কথা বলা হতো না।
মি. কবিরের মতে, এলাকাগুলোতে পুকুর খনন করে বাঁধ দিয়ে সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থা করলে তা এ সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
বিবিসি বাংলা’র সৌজন্যে