ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ। শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের স্বীকৃতি তার রাজনৈতিক জীবনের একটি বিশাল মাইলফলক। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ৭৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজনকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করতে উদ্যোগী হোন।
উদ্যমী, বিনয়ী, সৎ, আন্তরিক, জনবান্ধব, কর্মোদ্যমী ও একজন নিষ্ঠাবান রাজনীতিক হিসেবে খুব অল্প সময়ে কাউন্সিলর মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। তার পিতা সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন যেমনভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, ঠিক একইরকমভাবে তিনিও মানুষের জন্য নিবেদিত হতে পেরেছেন।
বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাবার স্বপ্নকে বুকে লালন করে জনগণের উন্নয়ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিশ্রুতির প্রতিজ্ঞায় কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে হয়- তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন তিনি। আর তারই সম্মান এই শ্রেষ্ঠ সম্মাননা। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন- মানুষের জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য- পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার প্রত্যয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসনে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে, রাস্তা-ঘাট সংস্কার ও কলকারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং বৈশ্বিক মহামারী করোনাকে মোকাবেলা করতে সাধারণ মানুষকে আত্মপ্রত্যয়ী চিত্তে দৃঢ় সংকল্প সঞ্চারিত করায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।
যেকোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে রয়েছে তার সমান মনোভাব। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে তিনি একজন আপোষহীন নেতা। ২০১৮ সালে পিতার মৃত্যুর পরে তিনি তার পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। ২৪নং ওয়ার্ডের জনগণ তাঁকে ভোটদানের মাধ্যমে তাদের সেবা করার যে সুযোগ প্রদান করেন, তা তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করছেন সবসময়।
জনগণের সেবায় নিবেদিত প্রাণ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ ২০২০ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দ্বিতীয় মেয়াদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হোন। মাত্র তিন বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেই সম্মান অর্জন করেছেন তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিপূর্বে কেউ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি অর্জন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতির মর্যাদা এবং দক্ষতার সহিত সে দায়িত্ব তিনি পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বুকে সৎ সাহস নিয়ে মৃত্যুভয়কে তুচ্ছভেবে রাতদিন মানুষের পাশে ছুটে বেড়িয়ে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে অদম্য প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ সেবার ব্রতে ব্রতী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুরস্কৃত হয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন- ‘প্রিয় এলাকাবাসী, আপনারা কোন প্রকার প্রভাব-প্রতিপত্তি অথবা অর্থ-সম্পদ না দেখে শুধুমাত্র সরল মনে ভালবাসার টানে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-এ প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত না করলে আজ আমি না-হতাম শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর আর না-পেতাম পদক, সনদ কিংবা সম্মাননা। তাই আজ আমার সমস্ত অর্জন ও সকলের কাছ থেকে পাওয়া অভিনন্দন আপনাদেরকেই উৎসর্গ করছি।’
‘আমি সবসময়ই আপনাদের চলার পথে বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে চাই। আর আপনারা আমাকে শুধু দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের জন্য অনেক সম্মান বয়ে আনতে পারি। শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়েই ভালোবাসা অর্জন করা যায়। লোভের বশবর্তী হয়ে বা কোনো অপশক্তির ভয়ে আপনারা আমাকে আপনাদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেননি। আপনাদের এই বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। আমি গর্বিত আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে। আমি যখন শূন্য হাতে আপনাদের ভালোবাসা চেয়েছিলাম আপনারা আমাকে নিরাশ করেননি। আমিও আজীবন আপনাদের মতোই আপনাদেরকে ভালোবেসে যেতে পারি সেই দোয়া করবেন’-যোগ করেন এই জনপ্রতিনিধি।
তরুণ প্রজন্মের আইকন, সুস্থধারার রাজনীতিক ও জনবন্ধু হিসেবে রয়েছে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিত। একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে মিশে যেতে পারেন যেকোনো বয়সের যেকোনো শ্রেণির যেকোনো মানুষের সাথে যেকোনো সময় যেকোনো পরিবেশে। বহুগুণে গুণান্বিত এই মানুষটি এদেশের রাজনীতিতে বহুদূর যাবেন- এই প্রত্যাশা করি সবসময়।
লেখক: কবি
বহুমাত্রিক.কম